অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের রেল ট্রানজিট নিয়ে যারা সমালোচনা করছে, তারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের দালালি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের রেল ট্রানজিট নিয়ে যারা সমালোচনা করছে, তাদের জানা উচিত ভারত একমাত্র মিত্র শক্তি যারা এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। জিয়া-এরশাদ-খালেদা সবাই বিরোধিতার কথা বলে ভারতে গিয়ে পা ধরে বসে ছিল।
তার সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারতকে জায়গা দেয়া মানেই তাদের কাছে ভূখণ্ড বিক্রি করে দেয়া নয়। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে বলেই দুই দেশের বন্ধ থাকা রেল সংযোগ-করিডোর আবার খুলে দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এটা নিয়ে কেন সমালোচনা হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। ইউরোপে তো এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের কোনো বর্ডার নেই, তারা কি বিক্রি হয়ে গেছে? এতে বরং তাদের যোগাযোগ সুবিধা বেড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে রাসেলস ভাইপার নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, এ নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। সবাইকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। সাপকে বিরক্ত করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১ জুন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর ভারতে কোনো সরকারপ্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।
এছাড়া, এই সফরটি ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর ছিল। এর আগে, ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধানও।
শেখ হাসিনার এই সফরে দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়নসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ঢাকা ও নয়াদিল্লি। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতকে রেল ট্রানজিট সুবিধা দেয়া।
সূত্র : যমুনা টিভি