নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোবাইল ফোন নিয়ে বিরোধের জেরে থাপ্পড় দেয়ায় বন্ধুর হাতে রাব্বি নামে এক কিশোর খুন হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে শহরের পশ্চিম ফুলবাড়িয়া এলাকার একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরই অভিযুক্ত সাগর পলাতক রয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত রাব্বি (১৬) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা আরামবাগের বাসিন্দা মানিক মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত সাগরের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। তবে সে পরিবার পরিজনসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ফুলবাড়িয়ার মুসলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকত।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, রাব্বি ও সাগর বন্ধু ছিল। তারা একসঙ্গে চলাফেরা করত। কয়েকদিন আগে তাদের মধ্যে মোবাইল নিয়ে তুচ্ছ ব্যাপারে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রাব্বি সাগরকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মারে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাগর রাব্বিকে হত্যা করে।
এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাগরের মা লিলি বেগম ও নানি শাশুড়ি রাবেয়াকে আটক করেছে।
নিহত রাব্বির মা ফাতেমা বেগম ও বোন তাহমিনা ইসলাম জানান, গত শনিবার (১৭ জুন) রাতে বন্ধু সাগর মোবাইল ফোন কেনাবেচার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় রাব্বিকে। এরপর থেকেই রাব্বির মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও রাব্বির কোনো সন্ধান পাননি।
পরে সোমবার (১৯ জুন) সকালে রাব্বির পরিবারের সদস্যরা সাগরের পরিবারকে তাদের বাসায় গিয়ে চাপ দেন। পরে অজ্ঞাত স্থান থেকে সাগর তার মাকে জানায়, সে রাব্বিকে হত্যা করে পাশের ডোবায় ফেলে দিয়েছে। রাব্বির পরিবারের পক্ষ থেকে এমন খবর পেয়ে পুলিশ পশ্চিম ফুলবাড়ি এলাকার একটি ডোবা থেকে রাব্বির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি বলেন, গত শনিবার রাতে ওই ঘটনার জেরে ফোন করে রাব্বিকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় সাগর। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পশ্চিম ফুলবাড়িয়ার একটি ডোবায় নিয়ে ফেলে দেয় সাগর। ফুলবাড়ি এলাকার একটি ডোবা থেকে রাব্বি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, রাব্বিকে শনিবার (১৭ জুন) রাতেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে পচন ধরেছে। অভিযুক্ত সাগরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাগরের মা ও নানি শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করা হয়নি।