গরমে হাঁসফাঁস, কবে মিলবে মুক্তি জানা গেল

মহানগর ডেস্ক: তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। এতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের জনজীবনে নেমে এসেছে দুঃসহ যন্ত্রণা। সহসায় এ থেকে মুক্তি মেলার কোনো সুখবর দিতে পারেনি আবহাওয়া অফিস।

দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মৃদু থেকে তীব্র ধরনের তাপপ্রবাহ আগামী চার থেকে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সুখবর দেয়া হয়েছে।

শনিবার (৩ জুন) সকাল ৯টায় থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।
 
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিম লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট  বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
 
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা ও বরিশাল বিভাগসহ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ফলে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে মুক্তি মিলতে আরও চার-পাঁচদিন সময় লাগবে।
 
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
 
ঢাকায় শনিবার সকাল থেকে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এদিন সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে বৃষ্টি কবে নাগাদ হতে পারে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম সময় সংবাদকে জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেটের কয়েকটি অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।
 
তিনি আরও জানান, মৌসুমি বায়ু সৃষ্টি হওয়ার পরপরই বৃষ্টি হতে পারে। দেশে মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটে মূলত টেকনাফ অঞ্চল দিয়ে। সাধারণতো ৩১ মে থেকে টেকনাফ, ১ জুন কক্সবাজার, ২ জুন চট্টগ্রাম ও ৪ থেকে ৫ জুন দেশের মধ্যাঞ্চলে মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ করে। এই সময়ের কিছু হেরফের হয় বটে। এবারও হয়েছে। টেকনাফ অঞ্চলে মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটতে আরও তিন-চার দিন দেরি হতে পারে। এরপর দেশের অন্যত্র তা প্রবেশ করবে। তারপরই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *