অনলাইন ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারীদের পাহাড়ি আস্তানায় বিজিবি ও র্যাবের যৌথ অভিযানে ৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় গুলিসহ তিন পাচারকারীকে আটক করা হয়। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
আটকরা হলেন— বাহারছড়ার কচ্ছপিয়া এলাকার আব্দুল্লাহ (২১), রাজরছড়ার সাইফুল ইসলাম (২০) ও একই এলাকার ইব্রাহিম (২০)। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি-র্যাব জানায়, রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাহারছড়া কচ্ছপিয়ার গহিন পাহাড়ে প্রথম ধাপের অভিযান চালানো হয়। এ সময় একজন পাচারকারীকে আটক ও চার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী বৃহৎ অভিযানে নামে। পাচারকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং কিছু ভুক্তভোগীকে পাহাড় থেকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে কৌশলে ঘিরে ফেলে তাদের আটক করা সম্ভব হয়।
অভিযানে একটি ওয়ান শুটারগান, একটি একনলা বন্দুক, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি রামদা, একটি চাকু এবং তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৮৪ জনের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। তাঁদের মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে পাচারের জন্য পাহাড়ে আটকে রাখা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি-২-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “সম্প্রতি টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় একাধিক মানব পাচারকারী গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে। আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি এবং অভিযান চালাচ্ছি।” র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান জানান, আটক তিন পাচারকারীর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের মূল হোতাদের খোঁজে তৎপরতা চলছে।