নিজস্ব প্রতিবেদন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
রোববার (২৮ মে) নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, একটা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হয় অনেক আগে থেকে। আমেরিকার ভিসা নীতি কী হয়েছে আমাদের সেটা দেখারই সুযোগ হয়নি। কারণ আমরা নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। আমেরিকার ভিসা নীতির সঙ্গে গাজীপুরের ভোটের কোনো সম্পর্ক নেই।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটের পর প্রার্থী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবারই ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করেছেন বলে জানান তিনি।
আলমগীর বলেন, ভোট আয়োজন করা হয় দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী। কোনো সংস্থা নির্বাচন কমিশন নিয়ে কী বললো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না।
ফলাফল ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, চারটি নির্বাচনী এলাকার রেজাল্ট দিতে সময় লাগে। একেকটা পদে অনেকজন করে দাঁড়িয়েছেন তাই ঘোষণা করতে সময় লেগেছে। জনগণকে জানানোর কিছু প্রক্রিয়া আছে। সব যাচাই বাছাই করে দেখার পরই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে ইভিএমের ফলাফল সন্ধ্যার মধ্যেই পেয়ে গেছি।
ব্লিঙ্কেন বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারায় একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এ নীতির অধীন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যারা দায়ী বা জড়িত থাকবে, সেসব বাংলাদেশির ভিসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।
বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকারসমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় বলেও ব্লিঙ্কেন উল্লেখ করেন।