নিজেস্ব প্রতিবেদন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (গসিক) ভোটগ্রহণ শুরু বৃহস্পতিবার (২৫ মে)। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
নগরীর ৪৮০টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে। প্রতি কেন্দ্রে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। গাসিক নির্বাচনে ৪৮০ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী আটজন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান এবং সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের মধ্যে। এ নির্বাচনে আজমত উল্লা খান দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ এবং জায়েদা খাতুন ‘টেবিল ঘড়ি’ প্রতীক নিয়ে লড়বেন।
এর আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় মঙ্গলবার (২৩ মে) মধ্যরাতে এ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়। ৯ মে থেকে টানা ১৫ দিন প্রচার চালিয়েছেন প্রার্থীরা। প্রচারের শেষ দিনে মেয়র প্রার্থীদের কেউই শোডাউন বা বড় ধরনের জনসমাগম করেননি। প্রধান দুই মেয়রপ্রার্থী আজমত উল্লা খান ও জায়েদা খাতুন অনেকটাই নীরব প্রচার চালান। তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিনকে দিনভর প্রচার চালাতে দেখা গেছে। অপরদিকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন। কোথাও কোথাও জনসমাবেশ ও মিছিল হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়েছিল। সে সময় কিছু কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরাও ছিল। তবে ওই নির্বাচনে সহিংসতায় কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়েছিল। এবার ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়।