নিজস্ব প্রতিনিধি : বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও ক্যুরি শান্তি পদকে ভূষিত করেন। ঐতিহাসিক এ সম্মান মানবতার ইতিহাসে চির অম্লান রাখার লক্ষ্যে জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর শান্তি সংসদ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ-২০২৪ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। গতকাল ১ জুন ২০২৪, শনিবার সকাল ৯ টা থেকে জহুর হোসেন চৌধুরী হল, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উপর গবেষণামূলক সংগঠন জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদের সহযোগী সংগঠন জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর শান্তি সংসদ এর আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর শান্তি সংসদ এর আহ্বায়ক লায়ন মোঃ মাসুম আহমেদ আহমেদ এর সভাপতিত্বে মঞ্চে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জনাব মোঃ আবদুল আউয়াল ভূঁঞা, সোনার বাংলা কলেজ, কুমিল্লা ‘র অধ্যক্ষ জনাব সেলিম রেজা সৌরভ, কবি ও কথা সাহিত্যিক ডা. এস এম এমরান আলী প্রমূখ। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদ এর সাবেক সভাপতি এ্যাড. পার্থ সারথি চক্রবর্তী, ঢাকা আইডিয়াল স্কুল অধ্যক্ষ এম এ মান্নান মনির। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আবুল হাশেম।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রাপ্ত জুলিও কুরি শান্তি পদক স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মাননা। একজন বাঙালি যিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ হন সেই ১৯৬৯ সালে। আর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ তাকে করেছে বাঙালির ‘অবিসংবাদিত নেতা’। তিনিই আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত হন। নিপীড়িত, নিষ্পেষিত, শোষিত, বঞ্চিত বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব ধরনের কর্তৃত্ববাদ ও সাম্রাজ্যবাদ পরিহার করে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করে বিশ্বের সুনাম অর্জন করেন। আর বিশ্বমানবতায় অসামান্য অবদান রাখার কারণে বিশ্বশান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত করে। বিশ্বশান্তি পরিষদের এ পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতি এবং বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক পদক।
১০০ জন শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে সকাল ৯টায় চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা শুরু হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা শেষে পবিত্র কোনআর তেলাওয়াতের মাধ্যেমে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। প্রথমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি জুলিও ক্যুরি বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর শান্তি সংসদ এর আহ্বায়ক লায়ন মোঃ মাসুম আহমেদ। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন এস. এম. সামসুদ্দিন টগর, সংগীত পরিবেশন করেন, কণ্ঠশিল্পী অমর হাওলাদার বাবুল, কণ্ঠশিল্পী বেদেনা খাতুন, কণ্ঠশিল্পী কাজল ও জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মহুয়া লিপি।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা অংশগ্রহণকারী ১০০ জনের প্রত্যেককে একটি করে স্কুল ব্যাগ প্রদান করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের মাঝে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও ৭জন কে মেডেল প্রদান করা হয়। এছাড়াও একজন প্রতিবন্দী কিশোরকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।