খেলাধুলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম টেস্টে ১৯২ রানের বড় জয়ে বাংলাদেশকে ‘হোয়াইট ওয়াশে’র লজ্জা দিলো শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের দেয়া ৫১১ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩১৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হন অলরাউন্ডার কামিন্দু মেন্ডিস। সিরিজ জয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের চারে উঠে এসেছে শ্রীলঙ্কা, আর আটে নেমে গেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হারটা চতুর্থ দিনেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বড় স্কোর তাড়া করতে নেমে শান্ত, সাকিব, লিটন, মুনিমুলরা সবাই সেট হয়ে বড় স্কোর করতে না পারায় জয় আর ড্র দু’টির স্বপ্নই ফিকে হয়ে যায়। শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা। ৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে পঞ্চমদিন শুরু করে বাংলাদেশ। আগের দিনে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ আর ১০ রানে অপরাজিত থাকা তাইজুল হারের ব্যবধান কমানোর জন্য মাঠে নামেন পঞ্চম দিন। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। অর্ধ শতক হাঁকাতে ৬২ বল খেলেন এই অলরাউন্ডার, হাঁকান ৮টি বাউন্ডারি। তবে তাইজুল ইসলাম তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি; এদিন মাত্র ৪ রান করার পর ১৪ রানে কামিন্দু মেন্ডিসের স্পিনে পরাস্ত হন তিনি। ৯ম উইকেটে পেসার হাসান মাহমুদকে নিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন মিরাজ। অভিষেক টেস্টে খেলা পেসার হাসানও টিকে থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২৫ বলে ৬ রান করার পর লাহিরু কুমারার পেসে পরাস্ত হলে ৩১২ রানে ৯ম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আরেক পেসার খালেদ অবশ্য ফিরেছেন দ্রুত। মাত্র দুই রান করে খালেদ ঐ কুমারার বলে বোল্ড হলে ৩১৮ তে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
এই হারে শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা পেলো বাংলাদেশ। ২০২৩ সালটা টেস্টে দারুণ পারফর্ম করেছিলো বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে জয়ের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের সাথে ১-১ এ সিরিজ ড্র করেছিলো টাইগাররা। কিন্তু ২০২৪ সালটা টেস্ট ক্রিকেটে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা দিয়ে শুরু করলো শান্তর দল।