বাণিজ্যমেলায় বিক্রি ১০০ কোটি, ৩০০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ

অনলাইন ডেস্ক :  বছরের মতো শেষ হয়েছে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। এবারের বাণিজ্য মেলায় আনুমানিক প্রায় ৩০.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩০০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। মেলায় আনুমানিক প্রায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয় হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ- চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৭ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা- ২০২৩ সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানেটি আয়োজন করে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। এবারের বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটগরির মোট ৩৩১টি প্যাভিলিয়ন, স্টল ও রেস্টুরেন্ট ছিল যা গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। মেলায় ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও নেপালের মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্সস, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া, আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর, ফার্নিচার ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আহমেদ বাবু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম আহসান।

এদিকে শেষ দিনে মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ক্যাটাগরির সেরা ৪৭টি প্যাভিলিয়ন, স্টল ও প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি দেওয়া হয়েছে। প্রথম পুরস্কার (গোল্ড কালার ট্রফি) প্রাপ্ত ১০টি সেরা প্যাভিলিয়ন ও স্টল হচ্ছে আবুল খায়ের মিল্ক প্রোডাক্টস লি., রংপুর মেটাল ইন্ডাষ্ট্রিজ লি., ঢাকা আইসক্রিম ইন্ডাট্রিজ লি., গাজী ইন্টারন্যাশনাল, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই), বিআরবি কেবল ইন্ডাষ্ট্রিজ লি., প্যানমার্ক ইন্টারন্যাশনাল লি. (পাইলট), এম আর টেকনোলজি (সোলাস), কুলফিডো লি. ও তুরস্কের প্যাভিলিয়ন। দ্বিতীয় সেরা পুরস্কার সিলভার কালার ট্রফি পেয়েছে ১৩টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল। সেগুলো হচ্ছে- ডায়ামন্ড ওয়ার্ল্ড, তানভীর ফুড, নেসলে বাংলাদেশ লি., বেশল পলিমার ওয়্যারস লি., কারা অধিদপ্তর, আবদুল মোনেম লি., মুক্তা পানি, হবিগঞ্জ এগ্রো লি., কাজী এন্টারপ্রাইজেস, মেসার্স হেলাল অ্যান্ড ব্রাদার্স, হামনাহ এন্টারপ্রাইজ, রংপুর কেমিক্যাল লি. ও পেনটেল (সিংগাপুর) প্রা. লি.। তৃতীয় পুরস্কার (ব্রোঞ্জ কালার ট্রফি) পেয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১১টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল। সেগুলো হচ্ছে-সেভয় আইসক্রিম লি. বিসিক, আরএম জুট ডাইভারসিফিকেশন মিলস্ লি., স্বপ্ন অ্যান্ড উয়িং প্রজেক্ট (আনন্দ মেলা), মিল্কভিটা, এক্সক্লোসিভ হোমটেক্স ইন্ডাট্রিজ লি., পেডরোলো এন. কে লি., সেলিম, আজম ইন্টারন্যাশনাল, এটলাস টয়লেট্রিজ লি., মেসার্স নুরুল টেক্সটাইল ইন্ডাট্রিজ ও পিটি নিশিন ফুডস ইন্দোনেশিয়া (চঞ ঘরংংরহ ঋড়ড়ফং ওহফড়হবংরধ)। এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- জয়িতা ফাউন্ডেশন, কে ইমেজ, পিপলস্ ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার ইন্ডাট্রিজ ও কুষ্টিয়া হস্ত শিল্প। বেস্ট ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে ৩টি প্রতিষ্ঠান। সেগুরো হচ্ছে- ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাট্রিজ পিএলসি, ভিশন ইলেক্ট্রনিক্স ও মিনিষ্টার হাই-টেক পার্ক ইলেক্ট্রনিক্স লি.। বেস্ট ফার্নিচার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে ৪টি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হচ্ছে- নাভানা ফার্নিচার লি., আকতার ফার্নিশার্স লি. অ্যান্ড ডেল্টা ফার্নিশার্স লি., নাদিয়া ফার্নিচার লি. ও হাতিল কমপ্লেক্স লি.; এবং ইনোভেটিভ পণ্য উৎপাদনকারী/বিক্রেতা হিসেবে ২টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাট্রিজ পিএলসি এবং রাজা টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *